দীর্ঘ ১৬ বছর পর লালমোহন চৌরাস্তায় বক্তব্য রাখেন লালমোহন-তজুমদ্দিন এর গনমানুষের নেতা এবং বি.এন.পির ভাইস চেয়ারম্যান অবঃ প্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম।এ সময় তিনি বলেন আমরা যে এত দ্রুত স্বাধীনতা পাবো তা ভাবি নাই।
গতকাল ১৩ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিত দ্বিতীয় বার স্বাধীনতা লাভ ও বিজয় উত্তর লালমোহন বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে ১৬ বছর পর লালমোহন তজুমদ্দিন এর ছয় বারের নির্বাচিত এমপি, দুইবারের সফল মন্ত্রী, ক্লিন ইমেজের নেতা মেজর অবঃ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম সাহেব লালমোহনে আসেন। তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালমোহন তজুমদ্দিন এর নিহত শহীদদের গার্ডিয়ানদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন,এবং অন্যান্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি শান্ত শৃঙ্খলা ও শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য নেতা কর্মীদের নির্দেশ দেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কে সকল প্রকার সহযোগিতা করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এবং বলেন যে দলের নেতৃ কর্মী সমর্থক দের রেখে পালিয়ে যেতে পারে, আর যা-ই হোকনা কেন আওয়ামী লীগ জনগনের দল হতে পারেনা।বীর বিক্রম হাফিজউদ্দিন আহমেদ হলেন একজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ, একজন অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর, এবং ভোলা-৩ আসনের প্রতিনিধিত্বকারী ছয় মেয়াদের জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়েছিলেন এবং সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বীরত্ব পুরস্কার বীর বিক্রমে ভূষিত হন।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, ‘দিল্লির অধীনস্থ হওয়ার জন্য কি আমরা এই যুদ্ধ (মুক্তিযুদ্ধ) করিনি।আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে মাথা উচু করে দাড়াতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশের স্বাধীনচেতা মানুষ কখনো ভারতের গোলামি মেনে নেবে না।’ কিন্তু আওয়ামী লীগ আমাদেরকে ভারতের গোলামে পরিনত করেছিল বিনিময়ে তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে রাস্ট্রীয় অর্থ সম্পদ লুন্ঠন করে বিদেশে বেগম পাড়া বানিয়েছেন। দেশে অট্টালিকা তৈরি করেছেন আজ ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। শেখ হাসিনা তো এক কাপড়ে জীবন নিয়ে বেঁচে গেছেন শুধু মাত্র তার ভগ্নিপতি সেনা প্রধান হওয়ার কারনে।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, বিএনপি জনগণের জন্য আন্দোলন করছে। যে গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিলো ক্ষমতায় এসে সেই গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে আওয়ামী লীগ। এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে তারা। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি। আমাদের তরুণ ছাত্র সমাজ আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এটা আমাদের রক্ষা করতে হবে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় বিদেশি শক্তির দিকে তাকিয়ে থাকে। যার ফলে বাংলাদেশকে একটি নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করেছে তারা। তারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের দল বলে অথচ তাদের কোন নেতা কর্মী মুক্তিযুদ্ধ করেনি। আসম আবদুর রব তো বলেছিলেন আওয়ামী লীগের কোন নেতা কর্মী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে থাকলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিব। কই সে চ্যালেন্জ কেউ গ্রহণ করেনি।
জনগণের প্রতিআওয়ামীলীগ সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনগণের আজ নাভিশ্বাস। কিন্তু এটা নিয়ে সরকারের কোনো মাথা ব্যথাই নেই। সরকারের চিন্তা ভাবনা শুধু কিভাবে লুটপাট করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবে।
তিনি তার উত্তরসুরী শাহরুখ হাফিজ কে জনসমাবেশে পরিচয় করিয়ে দেন। বিশেষ অতিথি শাহরুখ হাফিজ লালমোহন বাসীর নিকট দোয়া শুভকামনা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
লালমোহন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহরুখ হাফিজ ডিকোর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ খান, ভোলা জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম নবী আলমগীর,সদস্য সচিব রাইসুল আলম, লালমোহন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবুল,পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক ছাদেক মিয়া জান্টু, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন,সহ সভাপতি সোহেল আজিজ শাহিন, উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম বাবুল পাটোয়ারী,পৌর যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
#hilites