ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ভোলা টাইমস্ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আলী জিন্নাহ্ রাজিব ৷
গত আগস্ট মাসে ভোলা সহ সারা দেশে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন ৬জন সাংবাদিক এবং মামলা হয়েছে ২৯ জনের বিরুদ্ধে। ডিজিটাল নিরাপত্তা ও মানহানির মোট ৭টি মামলায় অভিযুক্ত ২৯ জনের মধ্যে গণমাধ্যম মালিক, সম্পাদক ও বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক রয়েছেন। এছাড়া হেনস্থা ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন আরও ৪ জন সংবাদকর্মী। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে, রেজিঃ নং-বি-১৯৮৭)’র মনিটরিং সেল সংবাদপত্রসহ শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ওপর নজর রেখে এই তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের প্রেসিডন্ট মোহাম্মাদ আবদুল মতিন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ সাংবাদিক হয়রানির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
তারা বলেন, আত্মসচেতন ও বিবেকবান সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী দেশ ও জাতির জন্য পথপ্রদর্শক। মূলত সংবাদকর্মীরা মানুষের আশা-আকাংখা, চাহিদা, প্রয়োজন ও স্বপ্নকে জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। একুশ শতকে সমাজ পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এমতাবস্থায় সাংবাদিকদেরকে হয়রানি না করে সমাজ উন্নয়নে তাদেরকে সহায়তার জন্য সংশিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছেন।
এদিকে গত ২৪ আগস্ট রাত ১০ টায় দৈনিক ভোলা টাইমস্ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আলী জিন্নাহ্ রাজিবকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সেদিন রাতে রাজিব তার পত্রিকার একজন হকারের জালিয়াতির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে তার অভিযোগ আমলে না নিয়ে পুলিশ উল্টো তাকে আটক করে এবং পরের দিন আদালতে প্রেরণ করে।
বর্তমানে তিনি ভোলা জেলহাজতে রয়েছেন। পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ আদালত এক দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন।
উপর মহলের ইন্দনে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে একটি মামলায় জড়িয়ে আটক করা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ভোলা টাইমস্ পত্রিকায় এক বালুদস্যুর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ ও একটি টেলিফোন সংলাপ প্রকাশ করার পরিপেক্ষিতে ক্ষমাতাসীন এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাকে হয়রানি করছেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন।
এর আগে বালুদস্যুতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাপ্তাহিক তদন্ত চিত্রের সম্পাদক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক একটি মামলা দায়ের করেন একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন ৷