কেউ কেউ এ প্রশ্নতো তুলতেই পারেন,নিষেধাজ্ঞার চেয়ে নতুন ভিসা নীতি কেন বেশি শক্তিশালী ? বা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য জন্য বড় চাপ ৷
জবাব হচ্ছে, এর নীতি অনেক বড়। যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন ভিসা নীতির ঘোষণায় এটা স্পষ্ট যেকোন দেশের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ, বিচারিক এমনকি সামাজিক নেতৃত্বের যে কেউই এর আওতায় পড়তে পারেন।যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট হিসাব-নিকাশ করে এই কৌশলী নীতি ঘোষণা করেছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র জানে যে সমাজের এই অংশই বেশি যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চায়, সেখানে তাদের স্বার্থ রয়েছে, তাঁরা তাঁদের সন্তানদের পড়াতে চান, কেউ কেউ সেখানে তাঁদের সম্পদ গড়েছেন, অর্থ জড়ো করেছেন।
রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, বিচারিক ও সামাজিক নেতৃত্বের সমন্বয়ে একটি দেশ পরিচালিত হয়, নীতি নির্ধারিত হয়, আর মোটামুটি সকল দেশের জনগনের একধরনের যুক্তরাষ্ট্র নির্ভরতাতো রয়েছেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা তাঁদের দরকার। নিজেদের জন্য দরকার, পরিবার ও সন্তানের জন্য দরকার, সেখানে জমা করা তাঁদের সম্পদের নিরাপত্তার জন্য দরকার।
কিছু শ্রেনীতো রয়েছে সুযোগ বুজে দেশের অর্থ পাচার করে জীবনের শেষ সময়ে এসে একটু নিরাপদ ভাবে জীবন যাপন করার,এই ভিসা নীতিতে তারাই বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন যারা অনিয়মকেই নিয়মে পরিনত করেছেন,আর যুক্তরাষ্ট্র কখনোই এই শ্রেনীর লোকদের তাদের দেশে গ্রহন করতে চায়না যারা তাদের সমাজ/দেশের জন্য অকল্যান বয়ে আনতে পারে বা দেশের পরিবেশ নষ্ট করতে পারে ৷ তা না হলে এ ভিসা নীতি নিয়ে এত বিচলিত হওয়ার কিছু ছিল না।