বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২৪ এর আগে স্থানীয় আওয়ামীলীগের করা গায়েবি বিস্ফোরক মামলায় ২৬ দিন জেল খেটে আসা নোমান পাটোয়ারীকে ফেসবুকে ফেক আইডির মাধ্যমে তার পারিবারীক ও সামাজিক ছবিতে ক্যাপশান লাগিয়ে তা প্রচার করে আওয়ামীলীগের একজন সমর্থক হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে সুবিধা-বঞ্চিত একটি সক্রিয় মহল।
অনুসন্ধানে জানা যায়,নোমান পাটোয়ারী লালমোহন বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারীর দ্বিতীয় ছেলে।নোমান পাটোয়ারী ক্লিন ইমেজের একজন ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব,সকল রাজনৈতিক বিতর্কের বাহিরে থেকে লালমোহন করিমুন্নেসা হাফিজ মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
তিনি বাবার ব্যবসা দেখাশুনার পাশাপাশি লালমোহনের ক্রীড়াঙ্গনকে উজ্জীবিত রাখার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন সবসময়।তার বড় ভাই জনাব মুকুল পাটোয়ারী ও একজন ভালো ফুটবলার ছিলেন।লালমোহন উপজেলার সকল ইউনিয়নের খেলোয়াড় এবং ক্রীড়া সংগঠকদের সাথে তার সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার ।
তার জনপ্রিয়তায় কিছু মানুষ ঈর্ষান্বিত হয়ে তার পারিবারীক ও সামাজিক ছবি এডিট করে তাতে ক্যাপশান লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ফেইক আইডির মাধ্যমে প্রচার করে তাকে আওয়ামীলীগের একজন সমর্থক হিসেবে প্রমানিত করে হেয় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন একটি সুবিধা বঞ্চিত সক্রিয় মহল ।
উপরের ছবিটি তার চাচাতো ভাইদের সাথে তোলা,আত্নীয়ের সাথে তোলা ছবি দিয়ে নোমান পাটোয়ারীকে আ’লীগের সক্রিয় একজন কর্মী সাজানোর চেষ্টা । উপরের ছবিটি লালমোহন লন্চঘাট নিবাসী জনাব নাসির সাহেবের (সম্পর্কে-কাকা) মৃত্যুর পর জানাজার নামাজ আদায়ের পর তোলা।এটা তার আপন ছোট চাচা জনাব মাসুদ পাটোয়ারীর সাথে তোলা
উপরে প্রকাশিত ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে নোমান পাটোয়ারী বলেন,আমার পুরো পরিবার দীর্ঘকাল থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।
তিনি আরো বলেন দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতার বাহিরে আছে।পথ চলতে গেলে দলের বাহিরের স্থানীয় জনপ্রতিনিধী ও মুরব্বীদের সন্মান করা কি অন্যায়?পারিবারীক ও সামাজিক কিছু ছবি দিয়েই কি একটি মানুষ কোন দল করে বা কোন দলের সমর্থক তা মূল্যায়ন করা যায় ?আ’লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালে স্থানীয় আ’লীগের কোন মিছিল মিটিং কিংবা কোন স্টেজে আমাকে কেউ দেখেছে?যদি আমি আ’লীগের রাজনীতির সাথে কোনভাবে সম্পৃক্ত থাকতাম তাহলে আ’লীগ আমাকে ২০২৪ এ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক মামলার আসামী করল কেনো? সেই মামলায় আমি ২৬ দিন জেল খেটেছি ।
বর্তমানে নোমান পাটোয়ারীকে ক্রীড়াসংস্থার স্থানীয় পর্যায়ে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও গ্রহনযোগ্য ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব হিসেবে সদস্য করায় কিছু কুচক্রী মহল হিংসার বশবর্তী হয়ে তাদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্য তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে ।
১৯৯১ সালে নোমান পাটোয়ারী ভোলা জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক থেকে ক্ষুদে ফুটবলার হিসেবে “ক্ষুদে ম্যারডোনা” খেতাবে ভূষিত হয়ে ম্যারাডোনা পদক পেয়েছিলেন।
তিনি ভোলা জেলা ফুটবল দলের একসময়ের নিয়মিত স্বনামধন্য ফুটবলার ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন দক্ষিণ ভোলায় সফলতার সাথে রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ভোলা জেলার ক্রীড়াঙ্গনে একজন অতিপরিচিত মুখ জনাব নোমান পাটোয়ারী।
নোমান পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা যারা চালিয়েছেন তাদের প্রতি নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমী সহ সমাজের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।