ঢাকার নারায়নগঞ্জ ডেমরায় একটি বালির জাহাজে শ্রমিক হিসেবে চাকরি নেয় মোঃ মহিউদ্দিন (২২) নামে এক যুবক।
১১ সেপ্টেম্বর বালির জাহাজ ড্রেজারের সাথে সংঘর্ষে বাম পা ভেঙে গুরুতর আহাত হন মহিউদ্দিন।
টাঙ্গাইল থেকে সিরাজগঞ্জে যাওয়ার পথে এ ঘটনাটি ঘটে। মহিউদ্দিন চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাট আহাম্মদপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের দরিদ্র মোঃ হাসান রাড়ীর ছেলে। পা ভেঙে যাওয়ার কারনে অসহায় হয়ে পরেছে তার পরিবার। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসার না করাতে পেরে পা হারাতে চলেছে মহিউদ্দিন। ঘটনার দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও জাহাজ মালিক সাকিব এখনো পর্যন্ত খোজ নেয়নি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মহিউদ্দিন।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করে জানান, দু মাস পূর্বে ঢাকার কেরীনগঞ্জ ডেমরায় ‘‘তৌহিদ তাহাসিন’’ নামের একটি বালির জাহাজে কাজ করে। জাহাজটির মালিক মোঃ সাকিব। ১১ সেপ্টেম্বর বালির জাহাজটি বালি খালি করে টাঙ্গাইল থেকে সিরাজগঞ্জে যাওয়ার পথে একটি ড্রেজার মেশিনের সাথে জাহাজটির সামনের অংশটি ধাক্কা খায়। মহিউদ্দিন জাহাজটির সামনে থাকায় ড্রেজারের সাথে ধাক্কা খেয়ে বাম পা ভেঙে পানিতে পরে যায়। জাহাজের সুকানি ছালাউদ্দিন তাকে উদ্ধার করেনি।
এসময় ড্রেজারের ম্যানেজার মহিউদ্দিনকে পানি থেকে উঠিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে জাহাজ চালক তাকে ঢাকা থেকে লঞ্চ যোগে চরফ্যাসন পাঠিয়ে দিয়ে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখে। জাহাজটির মালিক সাকিব মহিউদ্দিনের চিকিৎসার খরচের জন্য কোন ধরনের যোগাযোগ করিনি বলে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন।
এ ব্যপারে জাহাজের মালিক সাকিব বলেন, ঢাকা থেকে মহিউদ্দিনের দেশের বাড়ীতে লঞ্চ যোগে পাঠানো হয়। মহিউদ্দিনে পা ভাঙার পর চিকিৎসার জন্য ৩৫হাজার টাকার খরচ করেছি।
দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুরাদ হোসেন বলেন, এ ব্যপারে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।