করোনা মহামারীর কারনে এবার বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন “শারদীয় দূর্গোৎসব”কে দূর্গাপূজা হিসেবে অবিহিত করা হয়েছে ৷ অর্থাৎ এবার কোন উৎসব হবেনা,শুধু পূজা হবে ৷
এমনকি অষ্টমী তিথির কুমারী পূজাও এবার ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলোতে বাদ দেওয়া হয়েছে৷ রাত নয়টার পর দেশের কোন পূজামণ্ডপ খোলা রাখা যাবে না৷ হবে না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও৷ দর্শনার্থী প্রবেশেও থাকবে কড়াকড়ি৷
শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে দুর্গোৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে ভোলা পুলিশ সুপার জনাব সরকার মোহাম্মদ কায়সার এর নেতৃত্বে ভোলা জেলা পুলিশ ভোলা নিম্নোক্ত পরামর্শ গ্রহণের জন্য সম্মানিত পূজারী-ভক্তগণ- ও আয়োজকদের অনুরোধ জানাচ্ছেন।
(১) করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মন্দিরে বা পূজামণ্ডপের প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার স্থাপনসহ হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা ৷
(২) মন্দির ও আশেপাশের এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা করা ৷
(৩) পূজামণ্ডপে আগত সকলের মাস্ক পরিধান করা ৷
(৩) মণ্ডপে একসাথে ২৫ জনের অধিক ভক্ত বা দর্শনার্থীর প্রবেশ সীমিত রাখা ৷
(৩) পূজামণ্ডপে আগত পুরুষ ও মহিলা দর্শনার্থীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও নির্গমন পথের ব্যবস্থা রাখা।
(৪) মণ্ডপে পূজা উদযাপন কমিটি কর্তৃক পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর, চার্জার লাইট, নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা করার জন্য পূজা কমিটি ও আয়োজকদের অনুরোধ করা হচ্ছে।
(৫) পূজা চলাকালীন পার্শ্ববর্তী মসজিদে আজান ও নামাজের সময় উচ্চ শব্দ যন্ত্রের ব্যবহার সীমিত রেখে অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
(৬) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ব্লগ এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, ছবি আপলোড করে কেউ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে অবহিত করুন।
প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা ও বিসর্জনের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের সহায়তা নিন।
সন্ধ্যার পর মন্দিরে বা পূজামণ্ডপে সমাবেশ এবং আরতি বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
পুলিশের সহায়তার জন্য পুলিশ কন্ট্রোল রুম, ভোলা-০৪৯১-৬১৪৩৫, মোবাঃ ০১৩২০-১৫৩০৯৮ নম্বরে যোগাযোগ করুন। এছাড়া, ২৪ ঘন্টা জরুরি সেবার জন্য ৯৯৯ এ কল করুন।