কিশোরগঞ্জের মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রামের অসংখ্য হাওড় ঘিরে গড়ে উঠতে পারে অভ্যন্তরীণ ট্যুরিজমের বিশাল ক্ষেত্র। শুধু তাই নয় ইউরোপ, আমেরিকা ও থাইল্যান্ডের মত ওয়াটার ট্যুরিজম ভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়ন করা গেলে দক্ষিন এশিয়ার পর্যটন আকর্ষণের অণ্যতম কেন্দ্রবিন্দুও হতে পারে কিশোরগঞ্জের এই হাওড় এলাকা।
সম্প্রতি ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশ – টিডিএসবির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সংগঠনের সভাপতি ড. এ আর খান এর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্যরা এসব বলেন। ড. এর খান বলেন করোনার কারনে সারা পৃথিবী যখন পর্যুদস্ত-পর্যটন খাতে যখন ধ্বস নেমেছে তখন অভ্যন্তরীণ ট্যুরিজমের দিকে নজর দেবার বিকল্প নেই।
টিডিএসবির সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আহমেদ শ্রাবণ জানান বেসরকারী উদ্যোক্তাদের কারনেই রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবান সহ দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন হোটেল মোটেল রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। হাওড়কে ঘিরে ওয়াটার স্পোর্টস, ফ্লোটিং মার্কেট, ভাসমান রেস্তোরা ও ভাল মানের আবাসিক হোটেল গড়ে তোলার যথেস্ট সুযোগ রয়েছে কিশোরগঞ্জে।প্রয়োজন শুধু সরকারী উদ্যোগ ।
সভায় জানানো হয়, কিশোরগঞ্জ জেলার হাওড় অঞ্চলকে কিভাবে একটি বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা যায় তা নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন, সাংবাদিকবৃন্দ, সুশীলসমাজ ও পর্যটন ব্যাবসায়ীদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করতে আগামী ১লা সেপ্টম্বর সরেজমেনি হাওড় এলাকা পরিদর্শন করবে টিডিএসবি’র একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।
টিডিএসবির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন রিনীতা জানান এই সংগঠনটি কোন ব্যাবসায়িক সংগঠন নয় বরং পর্যটনে আগ্রহী যেকোন ব্যক্তি নিজ নিজ অবস্থান থেকে পর্যটন খাত বিকাশের স্বার্থে সংগঠনটিতে সদস্য হিসেবে যোগ দিতে পারেন। যা ভবিষ্যতে একটি আদর্শ পর্যটনভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে। সংগঠনটির সদস্য হতে চাইলে অথবা অন্য কোন তথ্য জানতে Tourism Development Society Of Bangladesh এর ফেসবুক পেজ অথবা tdsb.org.bd তে ভিজিট করার অনুরোধ জানান ফরিদা ইয়াসমীন রিনীতা।